'I'm lying with my husband', listening to the phone boyfriend ...

‘স্বামীর সঙ্গে শুয়ে আছি’, ফোনে কথাটি শুনে প্রেমিক…


প্রেমিকার যে কবে বিয়ে হয়ে গিয়েছে তা জানতেনই না যুবক। আর প্রেমিকার কাছ থেকে ফোনে একটা বাক্য শুনেই আত্যহত্যা করলো প্রেমিক। যখন সেই প্রেমিক ফোন দিলো প্রেমিকাকে তখন প্রেমিকা বলেছে, সে স্বামীর সঙ্গে শুয়ে রয়েছে ব্যস যেই শুনল আর নিজেকে ধরে রাখতে পারলো না প্রেমিক রাজীব পাল।
প্রেমে প্রত্যাখাত হয়ে নিজেকে শেষ করার সিদ্ধান্ত নেন প্রেমিক। অভিযুক্ত প্রেমিকা ঝিলিক রায়কে আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, ভারতের দমদমের শেঠবাগানের বাসিন্দা রাজীবের সঙ্গে তিনমাস আগে ফেসবুকের মাধ্যমে আলাপ হয় ঝিলিকের। ঝিলিকের বাড়ি বরানগরে। তবে দমদমের বেদিয়াপাড়ায় একটি বাড়িতে সে বাড়িতে থাকত। বন্ধুত্বের সম্পর্ক প্রেম পর্যন্ত গড়ায়। এরপর ঝিলিককে বিয়ের প্রস্তাব দেন রাজীব। কিন্তু বিয়ের জন্য সময় চায় ঝিলিক। এর মধ্যেই আরও একজনের সঙ্গে ঝিলিকের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। অন্যদিকে, রাজীবের কাছে নাকি প্রায়শই টাকা চাইত ঝিলিক। প্রেম টিকিয়ে রাখার জন্য টাকা দিয়েও দিতেন রাজীব।
গোল বাধে মঙ্গলবার রাতে। রাজীব ঝিলিককে ফোন করেন। ফোনে ঝিলিক জানায়, তার বিয়ে হয়ে গিয়েছে এবং সে স্বামীর সঙ্গে শুয়ে আছে। তার সাংসারিক জীবনে যেন রাজীব হস্তক্ষেপ না করে। এরপরই মন ভেঙে যায় রাজীবের। ঘরে কান্নাকাটি শুরু করে দেন তিনি। দরজা বন্ধ করে রাতে শুয়ে পড়েন তিনি। বুধবার সকালে অনেকক্ষণ ডাকাডাকি করেও তাঁর সাড়া পাওয়া যায়নি। পরে ঘরের দরজা ভেঙে রাজীবের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। গলায় চাদরের ফাঁস লাগিয়ে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হয় তাঁর নিথর দেহ।
রাজীবের এক ফুফু অভিযোগ করেন, “আমার ভাইপোর কাছ থেকে টাকা চেয়ে ঝিলিক মানসিক চাপ তৈরি করছিল। তবু, রাজীব সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে চেয়েছিল। বিয়ের প্রস্তাবও দেয়। কিন্তু, ঝিলিক অস্বীকার করে। রাজীব বলে, তোকে না পেলে আমি মরে যাব। কিন্তু, ও বলে তুই মরে যা। আমার কিছু এসে যায় না। প্রেম ভেঙে যাওয়ায় আত্মঘাতী হয়েছে রাজীব।” রাজীবের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় পুলিশ। রাজীবের পরিবারের অভিযোগ, প্রথমে পুলিশ অভিযোগ নিতে চায়নি। পরে অভিযোগ নেয়। আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে ঝিলিককে আটক করা হয়েছে।

Comments