ঝাড়ফুঁকের প্রলোভনে অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণে গ্রেফতার ওঝা !!

ঝাড়ফুঁকের প্রলোভনে অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণে গ্রেফতার ওঝা !!



ফের বুজরুকির শিকার হল এক ছাত্রী৷ ঝাড়ফুঁকের মাধ্যমে অসুস্থতা সারিয়ে দেওয়ার প্রলোভনে অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল স্থানীয় ওঝার বিরুদ্ধে। অভিযোগ, ঘটনাটি কাউকে জানালে তার বাবা ও মা-র ক্ষতি হবে বলে ওই ছাত্রীকে ভয় দেখানো হয়।
ঘটনাটি সোনারপুর থানা এলাকার গোবিন্দপুরের ঘটনা। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে৷ সকলেই অভিযুক্তর কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন৷
নির্যাতিতা ছাত্রীর পরিবারের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযুক্ত ওঝা কার্তিক দাসকে গ্রেপ্তার করেছে। তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ৷ এর আগেও এরকম বুজরুকির আড়ালে অভিযুক্ত কারও সর্বনাশ করেছে কি না, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা৷ একই সঙ্গে নির্যাতিতার শারিরীক পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হচ্ছে পুলিশ জানিয়েছে৷
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গোবিন্দপুরের একটি স্কুলে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ে ওই ছাত্রী। তারা বাবা দিনমজুরের কাজ করেন। মা পেশায় পরিচারিকা। দরিদ্র পরিবার। কিছুদিন ধরে ওই ছাত্রী অসুস্থ বোধ করছিল। মাঝে মধ্যেই রাস্তা-ঘাটে অসুস্থ হয়ে পড়ছিল। এলাকায় কার্তিক দাসের একটি চায়ের দোকান রয়েছে। চা দোকানের পাশাপাশি সে ওই বুজরুকির ব্যবসাও করত বলে বাসিন্দারা জানান৷
নির্যাতিতা ছাত্রীর বাবা বলেন, ‘‘কার্তিক নিজে থেকেই আমাকে বলে, মেয়েকে আমার বাড়িতে নিয়ে আয়, ঝাড়ফুঁক করে সারিয়ে দেব৷ আমি প্রথমে এসব ঝাড়ফুঁকে রাজি হয়নি৷ কিন্তু আর্থিক কারণে ভালো করে মেয়ের চিকিৎসাও করতে পারছিলাম না৷ তাই শেষ পর্যন্ত দোনামনা করে কার্তিকের কথায় রাজি হয়ে গিয়েছিলাম, যদি মেয়ে সুস্থ হয়ে যায়৷’’
এরপরই সোমবার সন্ধেয় অভিযুক্ত ওই ছাত্রীর বাড়িতে যায়৷ সেখানে একটি ঘরে ছাত্রীকে কিছুক্ষণ ঝাড়ফুঁক করার পর ছাত্রীর মাকে ঘর থেকে বাইরে যেতে বলেন। এরপর প্রায় ১ ঘন্টা ঘরের দরজা বন্ধ করে ছাত্রীর ঝাড়ফুঁক করে সে৷ বাইরে এসে ছাত্রীর পরিবারকে জানায়, এক সপ্তাহ পরে সে আবার আসবে৷ চিন্তার কিছু নেই মেয়ে তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠবে।
কিন্তু মেয়ের মুখ, চোখের হাবভাব দেখে মায়ের সন্দেহ হয়। তিনি মেয়েকে জেরা করতে শুরু করেন৷ পরিবার সূত্রের খবর, ওঝার হুমকির ভয়ে প্রথমে ভয়ে কিছুই বলতে চাইনি মেয়ে৷ পরে মায়ের কাছে কান্নায় ভেঙে পড়ে সে। জানায়, ঝাড়ফুঁকের নামে ওঝা তাকে ধর্ষণ করেছে৷ এরপরই রাতে সোনারপুর থানায় এসে ছাত্রীর বাবা অভিযোগ দায়ের করেন৷ পুলিশ রাতেই কার্তিককে বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে৷

Comments